HP 17 3 Business Laptop Review 64GB RAM, 2 2TB Storage, i5 10 Core #laptop #laptopmurah

HP 17 3 Business Laptop Review 64GB RAM, 2 2TB Storage, i5 10 Core #laptop #laptopmurah   About this item 【Processor】Intel Core i5 (10 Cores, 12 Threads, Max Boost Clock Up to 4.6Ghz, 12MB Cache). Intel Iris Xe Graphics. This 17.3-inch laptop is also equipped with Windows 11 Pro, which makes your work or study easy and convenient. 【Outstanding 17.3" Display】1600 x 900 high resolution LED screen (250 nits) provides you with a sharp and clear text and images. The ratio expands the vertical space of the screen, showing more content, providing a comfortable visual experience and greater efficiency when browsing web pages or documents. 【Exceptional Storage Space】Equipped Up to 64GB DDR4 RAM and 2TB PCIe Solid State Drive, runs smoothly, responds quickly, handles multi-application and multimedia workflows efficiently and quickly. 【Tech Specs】Stay connected with Wi-Fi and Bluetooth and variety of ports. The HP laptop features 1 x USB-C, 2 x USB-A, 1 x HDMI, 1 x Headphone/Microphone...

ফাস্টফুড খেলে জীবন হয়ে যেতে পারে দুর্বিসহ

ফাস্টফুড খেলে জীবন হয়ে যেতে পারে দুর্বিসহ

পিৎসা, বার্গার, কোকাকোলা, চিপস – সবকিছু নিয়ে টেলিভিশনের সামনে বসে যাওয়া, এটা অনেক বাচ্চা এবং কিশোর-কিশোরীদের যেন নিত্যদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। কিন্তু এর পরিণামের কথা কি ভেবে দেখেছেন মা-বাবারা? নিয়মিত ফাস্টফুড খাওয়ার ফলে শিশুদের ফুলের মতো সুন্দর জীবন আগামীতে হয়ে যেতে পারে দুর্বিসহ।

চিপস, চকলেট আর কোক

প্রায়ই দেখা যায় সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে বাচ্চারা কিছু না খেয়ে তাড়াহুড়ো করে স্কুলে চলে যায়। আর যাবার সময় তুলে নেয় চিপস বা চকলেট জাতীয় কিছু একটা, আর সাথে হয়ত ছোট্ট কোকের বোতল।

তৈরি খাবার

স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরেও সেই একই অবস্থা! বন্ধুরা অপেক্ষা করছে খেলার জন্য বা অন্য কোথাও একসাথে যাবে তাই। কাজেই এই অল্প সময়ে রেডিমেড খাবার খাওয়া ছাড়া উপায় নেই। ফ্রিজে রয়েছে বার্গার, পিৎসা বা এ ধরণের অনেক কিছু। পেট ভরাই মূল লক্ষ্য , পরিণাম নিয়ে কারো যে মাথা ব্যথা নেই।

শতকরা ১৫ জন কিশোর-কিশোরী মোটা

জার্মানিতে শতকরা প্রায় ১৫ জন কিশোর-কিশোরীর অতিরিক্ত ওজন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই অতিরিক্ত ওজনের কারণে অসুস্থ। বেশি চিনি এবং বেশি চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া এবং সে তুলনায় প্রয়োজনীয় হাঁটাচলা না করায় শরীরে মেদ জমে যায়।
সোজা কথায় – শারীরিক পরিশ্রম যে কম করে তার শরীরের ক্যালোরির প্রয়োজনও হয় কম।
যুগের হাওয়া
আজকের যুগের ছেলে-মেয়েরা বেশিরভাগই বাইরে খেলাধুলা করার চেয়ে পছন্দ করে নানা ধরণের কম্পিউটার গেম। বন্ধুদের সাথেও যোগাযোগের মাধ্যম মোবাইল ফোন। আর টেলিভিশন তো রয়েছেই। অর্থাৎ তাদের শরীরের তেমন কোনো কাজ নেই। অন্যদিকে খেতে পছন্দ ‘ফাস্টফুড’, যা এ যুগের ছেলে-মেয়েদের কাছে রীতিমতো ফ্যাশান। কাজেই শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়া খুবই সহজ। মনের অজান্তে অল্প বয়সে সেখানেই বাসা বাঁধে নানা কঠিন রোগ।
শারীরিক সমস্যা থেকে মানসিক সমস্যা
অতিরিক্ত ওজনকে ঠিক সময়ে গুরুত্ব না দেওয়ায় দেখা দেয় শারীরিক নানা সমস্যা, যা পরে মানসিক সমস্যাও হয়ে দাঁড়ায়। অতিরিক্ত মোটা হওয়ায় চলাফেরায় বাঁধা হয়ে যায়। ফলে স্কুলেও অন্যান্য বাচ্চাদের কাছ থেকে তারা দূরে সরে যেতে বাধ্য হয়। সমবয়সিরাও মোটাদের নানাভাবে নানা কথা বলে উত্তেজিত করে এবং অন্যদের সাথে মিশতে নিরুৎসাহিত করে। ফলে মানসিকভাবে তারা অসুস্থ বোধ করে ও হতাশায় ভোগে। তখন খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায় আরো।
অতিরিক্ত ওজন অনেক অসুখেরই পূর্বাভাস
জার্মানির উলম শহরে ইউনিভার্সিটি ক্লিনিকে ৫২০ জন মোটা বাচ্চা বা কিশোর-কিশোরীকে নিয়ে গবেষণা করা হয়। ফলাফলে দেখা গেছে যে ওদের লিভারেরও রয়েছে অতিরিক্ত চর্বি। তাই প্রায়ই দেখা দেয় উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়েবেটিসের পূর্বাভাস, যা পরবর্তীতে ডায়েবেটিস এবং হার্টের জন্য হুমকিস্বরূপ। তাছাড়াও অতিরিক্ত ওজন থাকার ফলে অল্প বয়সেই হাড়ের জয়েন্টে সমস্যা দেখা দেয়।
সহজ সমাধান
জার্মানির স্বাস্থ্য সচেতনতা দপ্তরের কর্মকর্তা রাইনহার্ড মান মনে করেন, সন্তানকে বকাবকি বা অভিযোগ করে এর সমাধান কোনোভাবেই সম্ভব নয়। বাচ্চার বয়স, উচ্চতা, স্কুলের চাপ ইত্যাদি ভালো করে জেনে এবং প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেভাবে খাবার দেওয়া উচিত। কারণ অনেক সময় দেখা যায়, বাড়ন্ত বয়সে যাদের ঠিকমতো খেতে দেওয়া হয় না, বড় বয়সে তারা খাওয়ার দিকে অতি মনোযোগী হয়।
বাড়ন্ত বয়স
অনেক মা-বাবাকেই বলতে শোনা যায়, ছেলে-মেয়ের বাড়ন্ত বয়সে অনেক বেশি খেতে দিতে হয়। কিন্তু ঠিক কতটুকু খাবার কার প্রয়োজন, তা তাদের জানা নেই। সময় মতো এ বিষয়ে খেয়াল রাখলে হয়ত অনেক সমস্যারই নিজে থেকে সমাধান হতে পারে।
খাদ্য বিশেজ্ঞদের পরামর্শ
‘রান্নার সময় মাঝে মাঝে বাচ্চাদের সাথে নিন। সবজি, ফল, সালাদ – এগুলো বাচ্চাদের কাটতে শেখান এবং রান্নার পরে সাথে নিয়ে খান এবং এ বিষয়ে আলোচনা করুন। সন্তানদের একটু বেশি সময় দিন, শুনুন ওদের সমস্যা এবং একসাথে মিলে সেসব সমাধানের চেষ্টা করুন। বাজার করার সময় লক্ষ্য রাখুন কম চর্বি এবং কম মিষ্টি জাতীয় খাবার কম কেনার। এতে ভালো ফল নিশ্চিত। ’
সপরিবারে সাইকেল চালান
ছুটির দিনে বাচ্চাদের নিয়ে গাড়ির বদলে সাইকেল বা পায়ে হেঁটে চলুন। চলে যান কোনো পার্ক বা চিড়িয়াখানায়। যদি ছোটবেলা থেকে এসব শেখানো হয়, পরবর্তিতে অতিরিক্ত মোটা হওয়ার হাত থেকে বাঁচা সম্ভব। আর ফাস্টফুডের বিজ্ঞাপণ থেকেও শিশুদের সচেতন করা প্রয়োজন।
শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ
জন্মের পর থেকে স্বাস্থ্যকর খাবারের সাথে শিশুদের সম্পর্ক গড়ে তুলুন। যতটা সম্ভব ফাস্টফুড থেকে সন্তানদের দূরে রাখার চেষ্টা করুন। ‘স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল’ – এই প্রবাদটি কিন্তু চিরদিনের জন্যই প্রযোজ্য!

Comments

Popular posts from this blog

Mukhalat Al Arais Attar – মুখালাত আল এরাইছ আতর